সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫০ অপরাহ্ন
দুলাল হোসেন- পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দশমিনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তৎপরতায় একই দিনে দু’টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে বিয়ে দুটি বন্ধ করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- শুক্রবার ২২শে জুলাই উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের পূর্ব আউলিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর(১৪) বিয়ের খবর পেয়ে দশমিনার ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল বিয়ে বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে বর বাশবাড়িয়া ইউনিয়নের ঢনঢনিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে রাকিব হোসেন(২১), বরের ভাই নুরুল হক, ছাত্রীর চাচা অলিউল হোসেনকে আটক করেন।
পরে ভ্রাম্যমান আদালত আটকৃতদের ১৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন।
অপরদিকে একইদিন শুক্রবার দশমিনা সদর ইউনিয়নের আরজবেগী গ্রামের আরজবেগী দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত এক ছাত্রী(১৩) কে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় বিয়ে বাড়ি থেকে একই এলাকার বর মালেক প্যাদার ছেলে মিরাজ হোসেন(২০), বরের মা মোসাঃ কুলসুম বেগমকে আটক করেন ভ্র্যাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ইউএনও মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল।
পরে তাদের ১৭ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এবিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইউএনও মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল প্রতিবেদককে বলেন- “আটককৃত ব্যক্তিরা মুচলেকা দিয়ে বলেছেন প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিয়ে দেওয়া হবে না। গত দুই মাসে দশমিনা উপজেলায় ২৫টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন দশমিনা উপজেলা প্রশাসন।